মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৩

জান্নাতুল ফেরদৌস ফারিয়ার গল্প

একটি সুখের হাসি, আমরা পাশে আছি

অপারেশনের পর হাসপাতালে
জান্নাতুল ফেরদৌস (ফারিয়া) গুডনেইর্বাস বাংলাদেশের মিরপুর প্রকল্পের একজন স্পন্সর শিশু ফারিয়া  অনেকদিন ধরে গলার সমস্যায় ভুগছিল প্রথমে তার পিতা-মাতা তাকে হোমিও প্যাথির ডাক্তার দেখান কিন্তু তাতে তেমন কোন ফল পায়নি ফারিয়ার গলার সমস্যা দিন দিন আরো জটিল হয় অবশেষে গুডনেইর্বাস বাংলাদেশের মিরপুর প্রকল্পের নিয়মিত ডাক্তার পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন তার ক্রমিক টনসিল হয়েছে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় কিন্তু তাতে তেমন কোন উপকার হয় না তারপর মিরপুর প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো হয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেন, তার টনসিল দুটো অনেক বড় হয়ে গিয়েছে এবং অপারেশন ছাড়া আর কোন চিকিৎসা নেই ডাক্তার আরও বলেন, বেশি পুরাতন টনসিলের সমস্যায় কম্পলিকেশন হিসেবে বাতজ্বর, কিডনি এবং হৃদপিন্ডে বিশেষ সমস্যা হতে পারে, তাই তাড়াতাড়ি অপারেশন করা দরকার  দারিদ্রতার জন্য মেয়ের ক্ষতি জেনেও ফারিয়ার বাবা-মা এই অপারেশন করাতে পারছিলেন না ফারিয়ার মা বলেন যে, ফারিয়ার বাবা একজন রাজ মিস্ত্রির সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করেন এবং দিন এনে দিন খেতেই তার কষ্ট হয়, তাই কোনদিনই  এই অপারেশন করা তাদের পক্ষে সম্বব নয় - এই কথা বলতে বলতে আবেগে তিনি কেঁদে ফেলেন এই অসহায় পরিবারের পাশে এসে দাড়ায় গুডনেইর্বাস বাংলাদেশ এবং মিরপুর হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ফারিয়ার অপারেশনের ব্যবস্থা করে একটি সফল অপারেশনের পর বর্তমানে ফারিয়া সম্পূর্ণ সুস্থ মেয়ের সুস্থতা দরিদ্র বাবা এবং মার মুখে হাসি ফুটিয়েছে আমরা ফারিয়ার সুস্থ জীবন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন