বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৩

একজন মায়ের (ফাতেমা বেগম) সাফল্য গাথা
 

আমার নাম ফাতেমা বেগম আমার ৩টি মেয়ে গুডনেইবারস মিরপুর স্কুলে পড়াশোনা করে ৫জন মেয়ে আমরা স্বামী স্ত্রী ২জন মিলে আমার পরিবারে সদস্য সংখ্যা জন আমার স্বামী দাড়োয়ানের চাকুরী করে ৫০০০/-টাকা বেতন পান , তার বেতনে আমাদের পরিবারের এতোগুলো মানুষের ভরন পোষন খুবই কষ্টকর ছিল মেয়েরা কিছু বায়না করলে তা মা হয়ে আমি পূরণ করতে পারতাম না এটা আমার জন্য অনেক কষ্টদায়ক ছিল স্বামীর কষ্টের কথা ভেবে তার কাছে কিছু চাওয়ার সাহস পেতাম না যখন আইডি বাচ্চা মায়েদের নিয়ে সমিতি করা হয়েছিল তখন চিšতা করলাম যদি কষ্টকরে মাসে ১০০/- টাকা জমাতে পারি তাহলে এটা আমার šতাদের ভবিষ্যতে কাজে লাগবে তাই আমি সাহস করে প্রতি মাসে ১০০টাকা করে জমা করতে থাকিতারপর আমি সমিতি থেকে মাস পরে ৫০০০/-টাকা লোন নিয়ে ছোট একটি চায়ের দোকান দেই বর্তমানে আমার দোকান খুব ভালো ভাবে চলছে আমি নিজেই এখন প্রতি মাসে কিছু টাকা আয় করতে পারছি যা আমার পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করছেসব দিক মিলিয়ে আমি আমার পরিবার এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল আছি

বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৩

 আরিফুল ইসলামের পথচলা

আরিফুল ইসলাম

আরিফুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ সিডিপির অন্তর্ভূক্ত একজন স্পন্সরড শিশু। সে ঘুড়কা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীর ১মস্থান অধিকারী ছাত্র। আরিফের বাবা একজন বৃদ্ধ গরীব বর্গাচাষী। বর্তমানে  তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪জন।  তার  পিতার উপার্জনে তার লেখাপড়ার খরচ চালানো অসম্ভব  ছিল। 

  
নিজ বাড়িতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে ব্যস্ত আরিফুল ইসলাম
কিন্তু ভেঙ্গে পড়েনি আরিফ। শিক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহ তাকে লেখাপড়া থেকে দূরে  সরাতে পারেনি। গুডনেইর্বাস এর অনুপ্রেরণায় সে লেখাপড়ার প্রতি আরো আগ্রহী হয়ে ওঠে। তারপর  সে তার নিজ বাড়িতে  এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো শুরু করে। সেইধারায় বর্তমানে তার ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১৭জন। ছাত্র  পড়ানো উপার্জিত অর্থ থেকে সে তার লেখাপড়ার খরচ বহনের পাশাপাশি পরিবারের বিভিন্ন চাহিদাপূরণ করে। এলাকাবাসীর অভিমত আরিফ অনেক গরীব, ভদ্র এবং মেধাবী ছেলে এবং তাকে নিয়ে তারা অনেক গর্বিত।

সজীবের গল্প

একটি সুখের হাসি, আমরা পাশে আছি


সজীব অপারেশানের পর
সজীব পাল গুড নেইর্বাস বাংলাদেশ দোহার প্রকল্পের একজন স্পন্সর শিশু । সে বেশ কিছুদিন যাবৎ শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছিল। বিশেষ করে ঘুমের সময় নিঃস্বাস নিতে তার অনেক কষ্ট হতো । এমতাবস্থায় প্রথমে আমাদের প্রকল্পের ডাক্তার তার প্রাথমিক চিকিৎসা করেন এবং তার কিছু প্যাথলজিকাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। এরপর তিনি সজীবকে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পাঠান । তখন সজীবকে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমানকে দেখানো হয় । তিনি সজীবকে দেখেন এবং কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যতদ্রুত সম্ভব অপারেশন করতে বলেন । সজীবের বাবা একজন কুমার, তিনি মাটির হাড়ি-পাতিল তৈরী করেন এবং মা গৃহিনী । তার বাবাই সংসারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি, তার সামান্য আয়ে এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা তার পক্ষে অসম্ভব। 

এমতাবস্থায় গুডনেইর্বাস বাংলদেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে সজীবের পাশে এসে দাড়ায় । 
মায়ের সাথে সজীব
১৭  মে জয়পাড়া ক্লিনিকে সজীবের অপারেশন করানো হয় । বর্তমানে সে সুস্থ আছে । সে নিয়মিত স্কুলে যায় এবং খেলাধুলা করে । গুডনেইর্বাস থেকে এই সাহায্য পেয়ে সজীব এবং তার পরিবার খুব খুশি। তারা এজন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে গুডনেইর্বাসের কর্মকর্তাদের অনেক ধন্যবাদ জানায় । গুডনেইর্বাস এর পক্ষ থেকে আমরা সজীবের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সর্বাঙ্গীন সুস্থতা কামনা করছি ।

মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৩

শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

গুডনেইর্বাস বাংলাদেশ সবসময়ই শিশুর উন্নত শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে আসছে এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিমাসেই জিএনবি স্পন্সরড শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে থাকে জিএনবি ১০টি প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের কাছে এই সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয় সত্যিকারভাবেই এই উপকরণ সহায়তা অনেক দরিদ্র স্পন্সরড শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখছে