রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১২

আমাদের শিশুরা কি আছে দুধেভাতে?

আজ বিশ্ব শিশু নির্যাতনপ্রতিরোধ দিবস ২০১২ (১৯ নভে) । প্রশ্ন হলো আমাদের শিশুরা কি আছে দুধেভাতে?

·         শিশু তার চাহিদার কথা বলতে পারে না প্রাপ্ত বয়স্কের মতো; প্রতিরোধের ভাষা বা শক্তি কোনটাই নেই; অতি সহজেই শিশু আক্রান্ত হয়, হয় ক্ষতিগ্রস্ত; ধ্বংস হয়ে যায় অপার সম্ভাবনাময় একটি জীবন। শিশুরা ফুলের মতো কোমল আর সম্ভাবনাময়।

·         হয়তো হবার কথা ছিল একজন সফল কর্মজীবি বা ডাক্তার বা এনজিনীয়ার বা একজন সুনাগরিক। হয়ে পড়ে পথশিশু, স্ট্রিট আরচিন, টোকাই, কাগজসংগ্রহকারী, আবর্জনাবাসী।

·         অপরিণত বয়সে নির্যাতনের শিকার হয়ে, শিশুর মানসিককতা চিরতরে ধ্বংস হয়ে যায়। নিভে যায় তার আশার প্রদীপ।

·         আসুন সবাই সচেতন হই শিশু অধিকারের প্রতি। গড়ে তুলি একটি ন্যয়নিষ্ঠ সমাজ যেখানে প্রাকৃতিকভাবে দুর্বল জনগোষ্ঠী পাবে বেঁচে থাকার সুযোগ।

·         সাম্প্রতিক সময়ে শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে, বেড়ে গেছে বিস্তার ও বৈচিত্র। নিজ পরিবারেই শিশু নির্যাতিত হচ্ছে।

·         একে একটি সামাজিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার মাধ্যমেই কেবল প্রতিরোধ করা যায়।
·         প্রথমত, আমাদের মেনে নিতে হবে যে, আমাদের এই সুন্দর সমাজের দেশটিতেও শিশু নির্যাতিত হচ্ছে, এবং সাধারণভাবে আমাদের শিশুরা এখন বিপদাপন্ন (vulnerable)।

·         তারপর সোচ্চার হতে হবে সকলকে, আওয়াজ তুলতে হবে শিশু নির্যাতনের বিপক্ষে, এমনকি নিজের পরিবারে বা প্রতিবেশীর পরিবারে হলেও।



২০০১ সালে খ্যাতনাম ১৫০ বেসরকারী সংগঠন এবং ৬০-এর অধিক দেশ একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় একটি বিশেষ দিনের, যেদিন শিশু নির্যাতনের বিপক্ষে সতেচনতা, শিক্ষা ও জবাবদিহিতা সৃষ্টি করা যায়।
বর্তমানে এতে ৭৮৬ সদস্য সংগঠন এবং বাংলাদেশসহ ১২৭ টি সদস্য দেশ রয়েছে (২০০৯)।
পৃথিবীজুড়ে প্রতি বছর ১০ লাখ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই কেবল এসব সামাজিক পীড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এজন্যই একটি বিশেষ দিনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেদিন নির্যাতিত এবং নির্যাতনকারী সকলকেই সচেতন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।