সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

২০১২ সালের অর্জন



 



জিএনবি ২০১২ সালে শিশু অধিকার বাস্তবায়ন নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং দক্ষতা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে ১১টি কমিউনিটি ডিভেল্পমেন্ট প্রজেক্ট (সিডিপি) এর বিদ্যালয় গুলোতে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক ক্ষেত্রে পাশের হার বেড়েছে এবং শিশু পরিষদের কার্যক্রমের ফলে জন্ম নিবন্ধনের হার বেড়েছে শিশুর পুষ্টির  ক্ষেত্রে আমরা উল্লেখযোগ্য সফলতা পেয়েছি শিশু অধিকার অজর্নের প্রক্রিয়াকে আরো কার্যকরী করার জন্য আমরা গত বছরে প্রতিটি  সিডিপি তে শিশু পরিষদ গঠন করেছি জিএনবি স্পন্সর শিশুর মায়েদের নিয়ে ৯টি সিডিপি তে সমবায় সমিতির নিবন্ধন করেছে যারা গত বছরে কমিউনিটি ডিভেল্পমেন্ট কমিটি (সিডিসি) করেছিলেন নারী এবং শিশুদের উন্নয়নের জন্য জিএনবি সেচ্ছাসেবকদের আরো সংগঠিত প্রশিক্ষিত করেছে

প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ভর্তির হার ৯০% থেকে ৯৬% উন্নীত হয়েছে (গড়) প্রায় প্রতিটি সিডিপি তে পঞ্চম শ্রেণীতে পাশের হার ১০০% যার ফলে আমাদের সর্বমোট পাশের হার ৯৮% মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে উত্তীর্ণের হার ৯২% থেকে ৯৬% হয়েছে সিডিপি গুলোতে ৮ম শ্রেণীতে পাশের হার ৮৭% হতে ৯৫% উন্নীত হয়েছে যা একটি বড় অর্জন ১০ম শ্রেণীতে গত বছরে পাশের হার ছিলো ৯৫% আমরা ৯৪% জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করেছি যা বিগত বছরের তুলনায় % বেশি ২০১২ এর  শুরুর দিকে  পুষ্টির হার ছিলো ৮৫% যা বছরের শেষে এসে দাড়িয়েছে ৯১%

জিএনবি এর স্পন্সর শিশুদের মায়েরা হলো আমাদের নারী উপকারভোগী নারী অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা দক্ষতা উন্নয়ন সংগঠিত করে মাঝারি ক্ষুদ্র ব্যবসা (এসএমই) সমবায় সমিতির মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছি কমিউনিটি সংগঠনের প্রথম ধাপে আমরা তাদেরকে ভিলেইজ ডিভল্পমেন্ট কমিটি (ভিডিসি) কমিউনিটি ডিভেল্পমেন্ট কমিটি (সিডিসি) এর মাধ্যমে সংগঠিত করেছি দ্বিতীয় ধাপে তারা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত হয়ে সমবায় সমিতি গঠন করেছে এই সময়ের মাঝে আমরা তাদের মেীলিক শিক্ষা দক্ষতা উন্নয়নের চাহিদা নিরূপণ করেছি জিএনবি এইসব সুবিধা-বঞ্চিত নারীদের বয়স্ক শিক্ষা (২৫৫ জন নারী) দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আর্ত-সামাজিকভাবে তৈরি করেছেদক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাঝে উল্লেখযোগ্য- ‘বুক কিপিংদক্ষতা, সচেতনতা বৃদ্ধি, জেন্ডার সচেতনতা, সমবায় ব্যবস্থাপনা, সমবায় চালনা মূল্যায়ন এবং সেলাই প্রশিক্ষণ সমবায় সমিতির মাধ্যমে নারীরা প্রথম বছরেই % নীট লাভ করেছেন এছারা জিএনবি গত বছরে ১৩৫ জন নারীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে

নারী শিশুদের জন্য কাজ করার জন্য গত বছরের শেষের দিকে আমরা ১৭৫ জন সেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি বার্ষিক সেচ্ছাসেবক সভার মাধ্যমে আমরা নারীদের জন্য কাজ করার জন্য তাদেরকে সংগঠিত করেছি

আমরা ১৫,০০০ স্পন্সর শিশু এবং প্রায় ১০,০০০ পরিবারের পক্ষ হতে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমরা অন্যান্য বছরের মত গত বছরেও আপনাদের নিরলস পরিশ্রমের প্রশংসা করি নতুন বছরে শিশু তাদের মায়েদের জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা আপনাদের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করছি আমাদের লক্ষ্য হলো সব পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে স্পন্সর শিশুদের ১০০% পাশ এবং শিশু মৃত্যু অপুষ্টির হার % নামিয়ে আনা আমাদের নারী উপকারভোগীদের জন্য লক্ষ্য হলো তাদের ৩০% কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা তাদের সমবায় সমিতিতে নীট লাভ % উন্নীত করা আমরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে নারীদের গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবো যা তাদের অর্থনৈতিক কর্মে অংশ গ্রহনের হার বৃদ্ধি করবে


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন