বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৩

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে গুডনেইর্বাস বাংলাদেশ




শারমিনা এখন বাল্য বিবাহের সর্বনাশী থাবা হতে মুক্ত

গুডনেইর্বাস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির সহায়তায় এবং স্থানীয় প্রশাষনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহের কড়াল গ্রাস হতে রক্ষা পেল ১০ বছরের শারমিনা খাতুন

শারমিনা খাতুন, গুডনেইর্বাস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির একজন স্পন্সর শিশু এবং জয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী আরো দশজন সাধারণ শিশুর মত সেও স্বপ্ন দেখতো লেখাপড়া শিখে অনেক বড় হওয়ার হঠাৎ করে তার  বিয়ের সিদ্ধান্তে থমকে গেল তার অনেক দূরে যাওয়ার স্বপ্ন দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত শারমিনার সদস্যের পরিবারে তার লেখাপড়াটা ছিল একটি বোঝার মত ছেলে পক্ষ থেকে চাওয়া যৌতুকের পরিমাণ অল্প হওয়ায় তার বাবা-মা তাকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল চাইল্ড কাউন্সিলর পেসপ্ শিক্ষকের মাধ্যমে মেহেরপুর সিডিপি এই সর্বনাশী সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারে তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার পেস্প শিক্ষক চাইল্ড কাউন্সিলররা তার বাড়ি যায় এত অল্প বয়সে মেয়েকে কেন বিয়ে দেওয়া হচ্ছে জিজ্ঞাসা করা হলে তার বাবা বলেন, “ আমরা গরিব মানুষ মেয়েকে বিয়ে দেওয়া আমাদের পক্ষে খুবই কষ্টকর সুযোগ এসেছে তাই আমরা এটা কাজে লাগাচ্ছি তার মা বলেন, “ মেয়ে বড় হয়েছে, তাকে ঘরে রাখাও নিরাপদ নয় উপস্থিত সবাই শারমিনার বাবা-মাকে বাল্যবিবাহের আইনি শাস্তি এবং শারিরীক ক্ষতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং শারমিনাকে বিয়ে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তারা  তাকে বিয়ে না দেওয়ার ব্যপারে সন্মতি জানান কিন্তু কয়েকদিন পরে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে  জানা যায় শারমিনার বাবা-মা তাকে গোপনে বিয়ে দিচ্ছেন 
প্রকল্প থেকে ব্যপারটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয় তিনি  বিষয়টি থানা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান তার হস্থক্ষেপে স্থানীয় থানার মাধ্যমে গ্রামবাসীর কাছ থেকে মুছলেকা লেখানো হয় যে তারা নিজেরাও বাল্য বিবাহ দিবে না এবং অন্যেদেরকেও বাল্য বিবাহ দিতে দিবে না শারমিনার বাবা-মাও প্রতিজ্ঞা করেন যে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তারা তাকে বিয়ে দেবেননা তারা বুঝতে পারলেন যে তারা তাদের মেয়ের জীবনকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন বাল্যবিবাহের কড়াল গ্রাস হতে রক্ষা পেল  শারমিনা এখন সে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে তার দু-চোখ এখন সপ্ন দেখে সুন্দর আগামীর


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন