লতা
রাণী, ভাদুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন রত অষ্টম শেণীর ছাএী । বিদ্যালয়ের
কোলাহল মুখর পরিবেশে দুর্বার বেড়ে উঠা । স্কুলে আসা, নিয়মিত ক্লাস করা,
পাঠ অনুশীলন, খেলা ধুলা ও বাড়ির কাজ করে কাটে তার সময়। হঠাৎ তার পারিবারিক
সিদ্ধান্তে ছন্দপতন ঘটে। পরিবার থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। স্কুল যাওয়া
বন্ধ হয়ে যায়। ৩রা ফেব্রুয়ারী এ বিষয়টি তার সহপাঠি পীরগঞ্জ প্রজেক্ট শিশু পরিষদের
সহ-সভাপতি ক্ষমা রায় ও সম্পাদক নিতু রায় পীরগঞ্জ প্রজেক্ট অফিসকে অবহিত
করে। খবর শোনা পীরগঞ্জ প্রজেক্ট দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ৪ঠা ফেব্রুয়ারী
পীরগঞ্জ প্রজেক্ট শিশু পরিষদের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদকসহ সকল সদস্য, এস
এস অ্যাসি. অফিসার ফারুক হোসেন ও কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর প্রতিমা রাণী তার
বাড়ি পরিদর্শণে যায় এবং তার বাবা, মা সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে কথা
বলা হয়। সি আর সি সভাপতি পলাশী আক্তার লতার বাবা, মাকে বলেন আপনার মেয়ে
আমার মত এক জন, আমরা সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতে চাই, আর সেই সুযোগ আপনাদের করে
দিতে হবে। শিশু পরিষদেও অন্যান্য সদস্য, এস এস অ্যাসি. অফিসার, ও কমিউনিটি
ফ্যাসিলিটেটর ও কমিউনিটির লোকজনের চেষ্টাই লতার বাবা, মা বুঝতে পারে, যে
তারা ভুল করছে। পরে তারা বলেন যে, আঠার বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না । এ
কথা শুনে লতা রাণী মুখে হাসি ফুটে, হাসি ফুটে তার সহপাঠি ও পীরগঞ্জ
প্রজেক্ট শিশু পরিষদের সদস্যদের মাঝে।
পীরগঞ্জ প্রজেক্ট শিশু পরিষদ সহ সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাল্য বিবাহের বলি থেকে রক্ষা পাই লতা রাণী। ফিরে পাই তার আনন্দে ঘেরা চিরচেনা পরিবেশে । পায় শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার প্রয়াস ।
পীরগঞ্জ প্রজেক্ট শিশু পরিষদ সহ সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাল্য বিবাহের বলি থেকে রক্ষা পাই লতা রাণী। ফিরে পাই তার আনন্দে ঘেরা চিরচেনা পরিবেশে । পায় শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার প্রয়াস ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন