গুডনেইবারস বাংলাদেশের বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম
" লেখাপড়ার বয়স নাই, এসো সবাই শিখতে যাই "
হিমেল নিভা সরকার
অপারেশনাল সিনিয়র ম্যানেজার
অপারেশনাল সিনিয়র ম্যানেজার
শিক্ষা ছাড়া ব্যক্তি
তথা জাতীয়
উন্নয়ন সম্ভব
নয়, একথা
সর্বজন বিদিত। এই সত্যকে উপলব্ধি
করে, গুডনেইবারস
বাংলাদেশ বিগত
২০০০ সাল
থেকে বিভিন্ন
কর্ম এলাকার
স্পন্সর শিশুর
মায়েদের নিয়ে
বয়স্ক শিক্ষা
কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
যার প্রধান
লক্ষ্য হলো
সমাজ থেকে
নিরক্ষরতা দূর করে নারীদের সচেতনতা
বৃদ্ধি ও
দক্ষতা উন্নয়ন
করা।
শিক্ষা ছাড়া কখনই
পরিবার ও
দেশের উন্নয়ন
করা সম্ভব
নয়।
পরিবারে কেবল
মাত্র শিশুদের
শিক্ষা প্রদান
করলে চলবে
না শিশুর
অভিভাবকদের বিশেষ করে মায়েদেরও শিক্ষা
প্রদান করা
প্রয়োজন।
এরই লক্ষ্যে
(জিএনবি) শুরু
করেছে এই
বয়স্ক শিক্ষা
কার্যক্রম।
মায়েরা নিজ
পরিবার পরিচালনা
করার পাশাপাশি
অল্প সময়
বের করে
নিয়ে যদি
লেখাপড়া করে,
তাহলে তারা
নিজের জীবনের
পাশাপাশি নিজেদের
সন্তানদের ভবিষ্যৎও সুন্দরভাবে গঠন করতে
সক্ষম হবে
বলে গুডনেইবারস
মনে করে।
যে সকল শিশুর
অভিভাবক যারা
সরকারি বা
বেসরকারি উদ্যোগে
পরিচালিত শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে কখনো লেখাপড়া করেননি অথবা
স্কুলে ভর্তি
হয়েও কোর্স
শেষ করতে
পারেননি তাদের
স্বাক্ষর করাই
হলো এই
শিক্ষা কর্মসূচীর
মূল লক্ষ্য। আশা
করা যায়,
অতি সহজে
মাত্র ছয়
মাসের মধ্যে
প্রতিটা বয়স্ক
শিক্ষার্থী এই র্কোস সমাপ্ত করতে
সক্ষম হবেন
এবং নিজেই
নিজের নাম,
ঠিকানা লেখতে
ও বলতে
পারার সাথে
সাথে সাধারণ
হিসাব করতে
সক্ষম হবেন। যার
মাধ্যমে দেশে
থেকে অনেক
নিরক্ষরতার হার কমে গিয়ে মানুষ
কিছুটা হলেও
শিক্ষিত হয়ে
উঠবে।
২০১৩ সালে গুডনেইবারস
২০টি বয়স্ক
সেন্টার পরিচালনা
করে।
জানু-ডিসেম্বর
পর্যন্ত ১৩২৫
জন বয়স্ক
মহিলা এই
কেন্দ্র থেকে
বয়স্ক শিক্ষা
গ্রহণ করেন
এবং অত্যন্ত
সফলতার সাথে
তা শেষ
করেন।
বর্তমানে তারা
বিভিন্ন স্থানে
এই শিক্ষাকে
কাজে লাগাচ্ছেন। বাহাদীপুর
কেন্দ্রের শিক্ষার্থী নূরজাহান বেগম আবেগাপ্লুত
কন্ঠে বলেন
“আমার লেখাপড়ার
অনেক ইচ্ছে
ছিল কিন্তু
তা সম্ভব
হয়নি।
কিন্তু আমি
এখন গুনতে
পারি ও
কিছু কিছু
পড়তে পারি। পরিবারে
হিসাব রাখার
কাজে আমার
এই গুনতে
পারা অনেক
কাজে লাগবে। গুডনেইবারস
এর কাছে
আমি অনেক
কৃতজ্ঞ আমার
চোখ খুলে
দেয়ার জন্য।” হাড়বাড়ি
কেন্দ্রের শিক্ষার্থী মরিয়ম বেগম বলেন
” গুডনেইবারসকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে নতুন
পথের আলো
প্রদানের জন্য। আসলেই
আমি এই
কথার অর্থ
বুঝতে পেরেছি
যে চোখ
থাকিতে অন্ধ
কাকে বলে। আর সার্টিফিকেট পেয়ে
আমি খুবই
কৃতজ্ঞ।
আশা করি
যে শিক্ষা
আমরা এখান
থেকে গ্রহণ
করেছি তা
আমরা জীবনে
চলার পথে
কাজে লাগাতে
সক্ষম হবো।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন